ধর্ষণের শিকার সেই ঢাবি ছাত্রী সাক্ষ্য দিলেন

ধর্ষণের শিকার সেই ঢাবি ছাত্রী সাক্ষ্য দিলেন

ঢাকাধর্ষণের ঘটনায় সাক্ষ্য দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেই ছাত্রী। ক্যান্টনম্যান্ট থানায় হওয়া মামলায় সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি।

এরপর মজনুর আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাকে জেরা করেন। এরপর আদালত আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মজনুকেও আদালতে হাজির করা হয়।

রোববার ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এনিয়ে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ সাক্ষীর মধ্যে দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

গত ২৬ আগস্ট এই মামলার একমাত্র আসা‌মি মজনুর বিচার শুরু হয়েছে। ওইদিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।

গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক অভি‌যোগত্র দা‌খিল ক‌রেন। মামলা‌টি বিচা‌রের জন‌্য প্রস্তুত হওয়ায় ওইদিনই ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম‌্যা‌জি‌স্ট্রেট নিভানা খায়ের জে‌সি বিচারের জন্য তা সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনা‌লে বদ‌লির আ‌দেশ দেন।

এরপর গত ১৬ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

অভিযোগপ‌ত্রে মজনুকে একমাত্র আসা‌মি করা হয়ে‌ছে। আর রাষ্ট্রপ‌ক্ষে সাক্ষী করা হ‌য়ে‌ছে ১৬ জন‌কে। ভুক্ত‌ভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে অভি‌যোগপ‌ত্রের স‌ঙ্গে।

এই মামলায় গ্রেফতার মজনু গত ১৬ জানুয়া‌রি ফৌজদারি কার্য‌বি‌ধির ১৬৪ ধারায় আদাল‌তে স্বীকা‌রো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন। জবানবন্দিতে মজনু একাই ঘটনার স‌ঙ্গে জ‌ড়িত ব‌লে জানান।

গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে ঢাবির বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পাশের একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন।

এদিকে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাবি উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা ঘটনার পর‌দিন শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। ধর্ষ‌ণের ঘটনার প্রতিবা‌দে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু, সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাম সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

বেইলি রোডে আগুন: ভবনের ব্যবস্থাপকসহ চারজন রিমান্ডে

ঢাকা-৪ আসনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত থাকবে: হাইকোর্ট