ঢাকা: কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে ইউএনওদের বদলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে বদলির কোনো উদ্যোগ নেই।
সম্প্রতি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের উপর দুর্বৃত্তদের হামলার পর বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে ইউএনও বদলির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয়ভাবে করার বিষয়ে আলোচনা তৈরি হয়।
ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের বদলি ও পদায়নের ক্ষমতা বিভাগীয় কমিশনার অফিস থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে করার আলোচনা চলছিল। প্রশাসনের মধ্য থেকেই এ দাবি ওঠে। ইউএনও-এসিল্যান্ড বা সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) বদলি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফিরে আসবে বলেও গুঞ্জন চলছে।
কর্মকর্তারা জানান, মাঠ প্রশাসনে গতি আনা এবং জনবল ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১০ বছর আগে বিভাগীয় কমিশনারদের হাতে দেওয়া হয় ইউএনও-এসিল্যান্ডদের বদলির ক্ষমতা।
২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রের ক্ষমতাবলে ইউএনও পদায়ন ও বদলির ক্ষমতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনারদের হাতে আসে। তার আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হাতে ছিল এ ক্ষমতা।
ওই পরিপত্র অনুযায়ী, নিজ জেলায় বা যে উপজেলায় এসিল্যান্ড পদে কর্মরত ছিলেন এমন কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে ইউএনও হিসেবে বদলি বা পদায়ন করা যাবে না। পরিপত্র জারির ফলে ২০১০ সাল থেকে বিভাগীয় কমিশনাররাই উপজেলাগুলোর ইউএনওর শূন্য পদে পদায়ন ও বদলির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার অফিসের বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডদের বদলির আলোচনা শোনা যাচ্ছে-এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, না। এখানে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয় কোনো উদ্যোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা এটা ডিসেন্ট্রালাইজেশন (বিকেন্দ্রীকরণ) করে ফেলেছি, এটা তাদের (বিভাগীয় কমিশনার অফিস) কাছে হস্তান্তর করেছি। এটা (ইউএনও বদলি) তারা দেখবে।
সারাদেশে মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ইউএনওদের বদলির প্রক্রিয়াটির বিষয় নিয়ে নানা ডালপালা গজিয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখানে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি করার সুযোগ নেই। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার অফিস ইউএনও-এসিল্যান্ডদের পদায়ন ঠিক করবে।