আবারও হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় পুনরায় তারা মাদরাসার মাঠে অবস্থান নেয়। এসময় মাইকিং করে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনের যোগ দিতেও বলা হয়। অপরদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্যদের জামেয়ার আশেপাশে সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা এসময় মাদ্রাসার সকল সিনিয়র শিক্ষকদের রুমের দরজা ভেঙে লুটপাটসহ জামেয়ার পরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী হাফিজাহুল্লাহ (কার্যালয়) সহ মাদ্রাসার শিক্ষক আল্লামা শেখ আহমদ সাহেব দা.বা.আল্লামা আহমদ দীদার কাসেমী, মুফতি জসীমউদ্দিন ,মাওলানা ওমর, মাওলনা আনাস মাদানী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদীদ, মাওলানা ওসমান, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা আজিজ তকী, মাওলানা ইসহাক, মাওলানা তরীক, মাওলানা বশিরের রুমে হামলা করা হয়।
পুনরায় আন্দোলন এবং হামলার সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দ্রুত মাদ্রাসায় পৌঁছালেও আর্দোলনকারীরা মাদরাসার সব গেইট বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এসময় প্রশাসনের কাউকে মাদরাসার ভিতরে ঢুকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করতে আন্দোলনরত মাদরাসার ছাত্ররা বারবার মাইকিং করছিলেন। বর্তমানে মাদ্রাসার আশেপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার দুপুর থেকে মাওলানা আনাস মাদানীকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্ররা। পরে রাতে মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুরার মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর ছেলে মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আনাস মাদানীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা, আন্দোলন কারী ছাত্রদের কোনো হয়রানি করা হবে না এবং যাদের হয়রানি করা হয়েছে তাদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া ও বাকি দাবি পূরণ করার জন্য আগামী শনিবার পুর্নাঙ্গ শুরা ডাকাসহ মোট তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। এর প্রেক্ষিতে ছাত্রদের আন্দোলন আপাতত শনিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও ক্লাস বর্জন চলবে বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।