ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) হিসেবে আগামী ২০২১-২২ দুই বছর মেয়াদে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী অতিদরিদ্র নারীকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। সরকারের ভিজিডি কর্মসূচি দারিদ্র্যপীড়িত ও দুঃস্থ গ্রামীণ নারীদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ভিজিডির মাধ্যমে এসব নারী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতাকে সফলভাবে অতিক্রম করে চরম দারিদ্র্যতার স্তর থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভিজিডি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির’ সভায় এসব বলেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ইআরডি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে আমাদের সব সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান আছে। পাশাপাশি অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের মোবাইল ব্যাংকের মাধ্যমে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার মাকে মাতৃত্বকাল ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী নারীকে ল্যাক্টেটিং মা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০০১-০২ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ভিজিডির মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ৭১ লাখ ৪০ হাজার।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সমাজের নিম্নআয় ও দিন আনে দিন খায় এমন শ্রেণির মানুষ, বিশেষ করে শ্রমজীবী নারীরা অনেক কষ্টে আছে। এই সময়ে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় নারী, যারা ভিজিডিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সব শর্ত পূরণ করবে, তাদের নির্বাচন করতে হবে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটিগুলোকে শতভাগ নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভিজিডি উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আর ভিজিডি বাছাই প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর থেকে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।