চীনের আধিপত্যকে কোনোভাবেই মেনে নিতে নারাজ প্রতিবেশী দেশগুলো। এর অন্যতম কারণ বেইজিংয়ের সম্প্রসারণবাদী আচরণ।
দক্ষিণ চীন সাগরকে যেভাবে বেইজিং নিজের ‘দখলে’ নিয়ে নিয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে এ সাগরের দাবিদার অন্য দেশগুলোর মধ্যে। আর বেইজিংয়ের এ সম্প্রসারণবাদী আচরণের কড়া জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাপান। এ জবাব দেওয়া হবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নানাভাবে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে।
বুধবার (০৯) এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো চীনের সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। খবর ইয়াহু নিউজের।
ওয়েবিনারটি আয়োজন করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ।
জাপানের এ মন্ত্রী চীনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন বৃহত্তর আঞ্চলিক বা বৈশ্বিকভাবে কৌশল নেওয়ার ওপর।
তিনি বলেন, যখনই চীন আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন করবে তখনই আমাদের অবশ্যই দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিতে হবে যেন দেশটিকে কৃতকর্মের জন্য সামান্য হলেও মূল্য চুকাতে হয়। বেইজিংয়ের সম্প্রসারণবাদী আচরণ ঠেকানোর জন্য এটা হতে পারে কার্যকরী পদক্ষেপ। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান মিলে এটা নিশ্চিত করার ক্ষমতা রাখে না। ফলে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এজন্য বৃহত্তর আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক কৌশল অত্যন্ত জরুরি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলটি দক্ষিণ চীন সাগরসহ ভারত মহাসাগর এবং পশ্চিম ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগর নিয়ে গঠিত অঞ্চল হিসেবে দেখা হয়।
এরমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা চীন এককভাবে দাবি করে। এ সাগর নিয়ে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ানেরও পাল্টা দাবি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বেইজিংয়ের সম্প্রসারণবাদী আচরণের বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে জাপান। মূলত চীন সেনকাকু দ্বীপের মালিকানা দাবি করার কারণে বেড়েছে উদ্বেগ। চীনে এ দ্বীপ দিয়াওউ নামে পরিচিত।