২৪ সেপ্টেম্বর   পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় যুক্তিতর্ক

২৪ সেপ্টেম্বর   পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় যুক্তিতর্ক

ঢাকানরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শেরে বাংলানগর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই দিন ধার্য করেন।

 

এ দিন ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, পাপিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি সাফাই সাক্ষী বা লিখিত কোনো বক্তব্য দেবেন কিনা? জবাবে পাপিয়া সাফাই সাক্ষী বা লখিত বক্তব্য দেবেন না বলে জানান। এরপর যুক্ততর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।

মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান অসমাপ্ত জবানবন্দি শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষ তাকে জেরা করেন। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ১২ সাক্ষীর সবারই সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

এরপর আদালত বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এই মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেই থেকে সাত কার্যদিবসে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এই মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়াকে আটক করে। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।

র‌্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচ তারকা হোটেলে সুন্দরী তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।

পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলা হয়।

তিনটি মামলায় এ দুইজনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

বেইলি রোডে আগুন: ভবনের ব্যবস্থাপকসহ চারজন রিমান্ডে

ঢাকা-৪ আসনের গেজেট প্রকাশ স্থগিত থাকবে: হাইকোর্ট