দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হাতুড়িপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় আটক জাহাঙ্গীর আলমকে (৪২) জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
জাহাঙ্গীর আলম রানীগঞ্জের কশিগাড়ী এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগ সভাপতি রাশেদ পারভেজ।
এদিকে, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও ঘোড়াঘাটের ওসমানপুরের সাগরপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে নবীরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস (২৮)।
উল্লেখ্য, বুধবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে ভেনটিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেডরুমে হাতুড়ি দিয়ে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তারা।
বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমের জ্ঞান ফিরেছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার ন্যাশনাল ইন্সটিউট অব নিউরোসাইন্স বিভাগের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, ওয়াহিদা খানমের সিটি স্ক্যান ফলাফল খুব ভালো, এক্সিলেন্ট, অপারেশন সাকসেসফুল, তবে এখনো শঙ্কামুক্ত নন তিনি