ঢাকা: শেরে বাংলানগর থানার অস্ত্র মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চতুর্থদিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
এদিন সাক্ষ্য দেন জব্দ তালিকার সাক্ষী পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জামাল ও হাবিবুর রহমান।
গত ২৪ আগস্ট একই আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। সেই থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চতুর্থদিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হলো। এ নিয়ে মামলায় রাষ্টপক্ষে ১২ সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলায় আগামী রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ২৯ জুন পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে এই মামলায় সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি র্যাব-২ এর একটি দল পাপিয়া পিউকে আটক করে। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়াদিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন।
র্যাব জানায়, যুবলীগ নেত্রী পাপিয়া পিউ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। এই নেত্রীর প্রকাশ্য আয়ের উৎস গাড়ি বিক্রি ও সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের ব্যবসা করতেন। কোনো কাজ বাগিয়ে নিতে পাঁচতারকা হোটেলে সুন্দরি তরুণীদের পাঠিয়ে মনোরঞ্জন করতেন সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিদের।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলানগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলা হয়। তিনটি মামলায় এ দুজনকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।