বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে।
কিন্তু এতদিন এ নিয়ে চুপ ছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। অবশেষে ছেলের ইচ্ছাপূরণ করতে আসরে নামলেন তার বাবা ও মুখপাত্র হোর্হে মেসি।
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) মেসির বার্সা ছাড়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে ক্যাম্প ন্যুয়ে হাজির হয়েছেন হোর্হে মেসি। এদিন বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তোমেউর সঙ্গে ক্লাব অধিনায়কের চুক্তি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। তবে ‘এল প্রাত এয়ারপোর্ট’-এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেসির বাবা বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। ’
গত মঙ্গলবার এক বুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন মেসি। কিন্তু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিককে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত থেকে যাওয়ার জন্য নতুন প্রস্তাব দিতে চলেছে বার্সা।
এদিকে গত সোমবার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির শুরুর প্রথম দিনে হাজির হননি মেসি। এর আগের দিন বার্সার পূর্ব নির্ধারিত করোনা ভাইরাস টেস্টো করাননি তিনি। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে স্থির আছেন তিনি।
মেসির দাবি, বার্সার সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, শেষ বছরে কোনো রিলিজ ক্লজের ব্যাপার নেই। অর্থাৎ ফ্রিতেই যেতে পারবেন তিনি। কিন্তু বার্সা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মেসিকে কিনতে আগ্রহী ক্লাবকে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করতে হবে।
বার্সা ও লা লিগার যুক্তি হলো, গত মৌসুম শেষ হওয়ার ২০ দিন আগে অর্থাৎ ১০ জুনের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা জানালে রিলিজ ক্লজ দিতে হতো না। কিন্তু মেসি যেহেতু ওই তারিখের আগে জানাননি তাই চুক্তিতে ক্লজ চালু হয়ে গেছে, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে।
মেসির আইনজীবীদের যুক্তি, যেহেতু করোনা মহামারির কারণে এবার মৌসুম দেরিতে শেষ হয়েছে, ৭০০ মিলিয়ন রিলিজ ক্লজের ব্যাপারটি প্রযোজ্য নয়। কারণ মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই ক্লাব ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টা নিয়ে এর আগে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল, নতুন চুক্তি ছাড়া আর কোনো বিষয়ে কথা বলবে না তারা। এখন দেখার বিষয়, মেসির বাবা বিষয়টার সুরাহা করতে পারেন কি না।
এদিকে মেসিকে কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শোনা যাচ্ছে, মেসিকে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। ‘ইএসপিএন’ দাবি করেছে, মেসির বিনিময়ে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো দিতে চায় সিটিজেনরা।