ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো হাঙ্গেরিতে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের আঘাত আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে পূর্ব ইউরোপের এ দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৮ জন। সংক্রমণে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৬ হাজার ২৫৭ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৬১৬ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩ হাজার ৮২১ জন।
দ্বিতীয় দফায় হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। গ্রীষ্মকালীন অবকাশকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের জনসমাগম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশটিতে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাঙ্গেরির সরকার ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সীমান্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে এবং একই সাথে বিদেশি নাগরিকদের হাঙ্গেরিতে যাতায়াতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে। হাঙ্গেরির সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তবে হাঙ্গেরির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অর্বান ভেক্টরের মুখপাত্র গেরজেলি গুলিয়াস জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর থেকে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা সরকারের কাছে নেই।
গেরজেলি গুলিয়াস আরও জানিয়েছেন এ মুহূর্তে বিদেশি নাগরিকদের জন্য হাঙ্গেরিতে যাতায়াতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া হাঙ্গেরিয়ান পাসপোর্টধারী কোনও নাগরিকের দেশে ফিরে আসার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে হাঙ্গেরিতে প্রবেশের সাথে সাথে তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
করোনার এ সময়ে ইউএস ডলার কিংবা ইউরোর বিপরীতে দেশটির জাতীয় মুদ্রা হাঙ্গেরিয়ান ফরেন্টের চরম অবনমন দেখা দিয়েছে। এমনিতে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। মুদ্রার বাজার মূল্যের অবনমন যে কোনও সময় দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদেরা।