কাজী জাফর আহমেদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টিসহ তাকে আমাদের জোটে আনার জন্য কাজ করছিলাম। সেই সময়ে কয়েক দফা আমাদের সভা হয়েছে। প্রথম যে সভাটা উনি আমাদের ম্যাডামের সঙ্গে করতে গেলেন সেটা খুব স্মরণীয়। তখন সরাসরি ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করাটা তার জন্য বিপজ্জনক ছিল। কারণ দলীয়প্রধান ও অন্যরা জানতে পারলে তার ক্ষতি হতে পারে। এজন্য তিনি বললেন, আমি ছদ্মবেশে যাব।’
কাজী জাফরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় যোগ দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘এখনো আমার মনে আছে, তিনি আবদুল্লাহ ভাইয়ের বাসায় ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। আমি যখন প্রথম দেখলাম তাকে চিনতে পারিনি। আসকান পরা, মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি। আমাকে বললেন, কী? চিনতে পারছ? আমার বেশ কিছু সময় লাগছে চিনতে। এরপর গাড়ি বদল করে ম্যাডামের বাসায় গিয়েছিলাম। জাফর ভাইকে সেদিন ম্যাডামও চিনতে পারেননি। ম্যাডাম বললেন, কাকে নিয়ে এলেন? উনাকে কিন্তু চিনতে পারছি না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাফর ভাই অসাধারণ নেতা ছিলেন। তার একটা মেমোরি ছিল, একটা অসাধারণ ক্ষমতা ছিল মানুষকে আপন করে নেয়ার এবং নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করর। আমাদের কাছে নায়ক ছিলেন, হিরো ছিলেন। সত্যি উনি একেবারে কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতেন।’
তিনি বলেন, ‘তাকে আমার প্রায় মনে পড়ে। আজকাল তাকে মিস করি। তার অনুপস্থিতিটা আমি অনুভব করি। আজকে যখন আমরা এই একটা অবস্থার মধ্যে পড়েছি, সেই অবস্থায় কাজী জাফরের প্রয়োজন ছিল।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, প্রবাসী শিক্ষাবিদ আতিকুর রহমান সালু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।