যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে দুটি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে চীন। এর আগে ওই অঞ্চলে মার্কিন নজরদারি বিমানের আনাগোনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বেইজিং।
জানা গেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলরাশিতে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। ফলে ওই অঞ্চলের আকাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ‘নো ফ্লাই জোন’ বা বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা। চীনের অভিযোগ, মঙ্গলবার ‘নো ফ্লাই’ জোনে প্রবেশ করে একটি মার্কিন নজরদারি বিমান। ২৪ ঘণ্টা পর চীনের সেনাদের গতিবিধি জানতে একই অঞ্চলে আবার টহল দেয় আমেরিকার আরেকটি নজরদারি বিমান। তারপরই, আমেরিকার কাছে কূটনৈতিক স্তরে তীব্র প্রতিবাদ জানায় চীন।
সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসাইল দু’টির একটি হচ্ছে ডিএফ-২৬। এই ব্যালিস্টিক মিসাইল ৪ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। স্থলে ও জলে আণবিক অস্ত্র নিয়েও হামলা চালাতে পারে এই মিসাইলটি। চিনের ছোঁড়া অন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি হচ্ছে, ডিএফ-২১। এটি ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে পারে। বিশেষ করে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এটিকে তৈরি করেছে চীন।
গত মাসেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চালায় মার্কিন নৌবাহিনী। ফলে বিশ্লেষদের মতে, চাইলে মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দিতে পারে তারা, এই বার্তা দিতেই হাইনান প্রদেশ ও বিতর্কিত পারাসেল দ্বীপপুঞ্জের মাঝামাঝি অঞ্চলে মিসাইল দু’টি ছুঁড়েছে চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চীন। ফলে ইতিমধ্যেই জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন -সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেইজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সাগর দিয়েই প্রতিবছর ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়। ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে এই রুটটি অত্যন্ত লাভজনক।