ঢাকা: ভারতের মেঘালয়ভিত্তিক অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম ‘শিলং তীর’র বিস্তার ঘটছে বাংলাদেশেও। দেশীয় এজেন্টদের প্রলোভনে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই।
আবার এজেন্টদের মাধ্যমে সেসব জুয়ার টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর গুলশান ও নেত্রকোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়া শিলং তীরের চার এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শামিম মিয়া (৩০), মো. আব্দুল আলী (৩১), মো. এরশাদ মিয়া (২৯) ও মো. সোহাগ মিয়া (২৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল, একটি রেজিস্টার খাতা, ১-৯৯ পর্যন্ত নম্বর বিশিষ্ট চারটি চার্ট সংবলিত ব্যবহৃত শিট এবং পাঁচটি অব্যবহৃত চার্ট সংবলিত শিট জব্দ করা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হক জানান, ১৯৯০ সালে সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতের শিলং ও গৌহাটি এলাকা থেকে চালু হয় এই জুয়া খেলা। এরপর পর্যায়ক্রমে জুয়া খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তে। সিলেটের অনেককে সর্বস্বান্ত করে জুয়াটি বিস্তার করে নেত্রকোনা জেলায়।
নেত্রকোনা হয়ে ঢাকায় শিলং তীর বিস্তার করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকা থেকে শামিম ও আব্দুল আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে এরশাদ ও সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ভারতের শিলং-এর জুয়াড়িরা বাংলাদেশে এজেন্ট নিয়োগ দেন। বাংলাদেশি এজেন্টরা আবার বিভিন্ন এলাকায় তাদের সেলসম্যান নিয়োগ করেন। এই সেলসম্যানদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ধরনের লোভ দিয়ে ভয়ানক শিলং তীর জুয়ায় আকৃষ্ট করেন।
এসি নাজমুল হক বলেন, গ্রেফতারদের গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করে বুধবার (২৬ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হয়েছে।