ঢাকা: করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন চালু করে সরকার। কিন্তু প্রথম থেকেই সব নিয়ম উপেক্ষিত।
ক্রমে গণপরিবহন স্বাভাবিক সময়ের মতো অবস্থায় ফিরলেও ভাড়া নিচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। কলাবাগান থেকে প্রেসক্লাবের দূরত্ব ৫ দশমিক ৬ কিমি। এই দূরত্বে বাসভাড়া হওয়া উচিত ৭ টাকার মতো। কিন্তু ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকার মতো। প্রতিবাদ করেও মিলছে না সুফল।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বারসিক, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশন ও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা এসব অভিযোগ করেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরবে ঘোষণা দিলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকার্স লীগের সভাপতি এমএ কাশেম, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, গ্রিন ফোর্সের সমন্বয়ক মেসবাহ সুমন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের মে মাসের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটারের সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। করোনাকালীন ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে তা ২ টাকা ২৭ পয়সা নির্ধারিত হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বাস ও মিনি বাসের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং চট্টগ্রামে ১ টাকা ৬০ পয়সা। করোনাকালীন তা বাড়িয়ে যথাক্রমে ২ টাকা ৭২ পয়সা এবং ২ টাকা ৫৬ পয়সা হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর সময় ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো আপত্তি করেছিল। করোনাকালীন পৃথিবীর কোথাও গণপরিবহনের বাড়ানো হয়নি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বাস্তবে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহনের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। বিগত দিনগুলোতে দেখা গেছে একটি সিন্ডিকেট পুরো পরিবহন সেক্টরকে দখল করে নিয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি যত সংখ্যক ও যে মানের বাস চালানোর শর্তে রুট পারমিট পায় তারা তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক এবং নিম্ন মানের বাস চালায়। এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে গেটলক বা সিটিং বাসের নামে অনেক বাস চলাচল করে যারা অন্য ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করে।