স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন সংশোধনে দলের মতামত নেবে ইসি

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন সংশোধনে দলের মতামত নেবে ইসি

ঢাকা: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা আইনের খসড়ার ওপরও দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে। এছাড়া নাগরিক সমাজের মতামত নিতে খসড়াটি শিগগিরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হবে খসড়া।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর সোমবার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে প্রস্তাবিত আইন নিয়ে বৈঠক করে কমিশন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন-২০২০ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর আলাদা আলাদা আইন রয়েছে। ওই আইনগুলোর নির্বাচন সংক্রান্ত যে চ্যাপ্টারগুলো রয়েছে, সেগুলো পাঁচটি আইনে আলাদা করে না রেখে, একটি আইনের মধ্যে নিয়ে আসার জন্যই নতুন একটি সমন্বিত আইন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। আজকের বৈঠকে সেটি তোলা হয়।

‘আলোচনা করে কিছু কিছু জায়গায় সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছে। তার ভিত্তিতে সচিবালয়ের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কমিশনের মতামত অনুযায়ী সংশোধন করে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করার। আগামী সোমবার আবার কমিশন সভায় তা তোলা হবে। ওইদিন যদি আরো মতামত আসে তারপর চূড়ান্ত হলে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে মতামতের জন্য। রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরাও মতামত দেবেন। সবার কাছ থেকে আমরা মতামত নেবো। তারপর সবার মতামতের ভিত্তিতে খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। ’

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করছে না ইসি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা আইন সংশোধন করছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে। তার কারণেই কমিশন এটা করছে।

মো. আলমগীর বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইনগুলো হালনাগাদে কমিশন গঠন করছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে রয়েছে।

দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি আলাদা আইন রয়েছে। যেগুলো হলো- স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইন, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন। এগুলোর নির্বাচনের জন্যও আলাদা পাঁচটি আইন আছে নির্বাচন কমিশনের।

ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হযেছে। তারাও তাদের আইনগুলোকে হালনাগাদ করতে একটি কমিশন গঠন করবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সরকারে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে রয়েছে। ওই কমিশন গঠন হলে তখন হয়তো ওই কমিশনেও ইসির সংশোধনীর বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব আসবে।

তিনি বলেন, এই আইনের কারণে ওই আইনগুলো সংশোধনের তেমন একটা প্রয়োজন পড়বে না। তবে, আইনটি বাংলায় করলেও একটা প্রস্তাব আছে যে শব্দগুলি প্রচলিত রয়েছে, বাংলার পাশাপাশি সেই পরিভাষাগুলো রাখার। যেমন যদি ধরেন মেয়র। ব্র্যাকেটে মেয়র শব্দটি ইংরেজিতে থাকবে, আর বাংলায় নগরপিতা বা মহানগর প্রধান ইত্যাদি যা হোক হবে। তবে এটা কিন্তু চূড়ান্ত নয়। এখানে জাস্ট উপমা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আল্টিমেটলি যারা সংসদে আইন করবেন তারাসহ যেসব জায়গায় যাবে, সেখান থেকে যে বেস্ট সাজেশন আসবে সেটা হবে। প্রতিশব্দ হিসেবে যেহেতু ইংরেজি শব্দ থাকছে, এ কারণে মূল আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। পরিবর্তন না করলেও কোনো সমস্যা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রচলিত ইংরেজিগুলো হঠাৎ বাংলা করা হলে একটি কনফিউশন তৈরি হবে। কী মিন করা হচ্ছে, অনেকে বুঝবেন না।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পাকিস্তানের বিলম্বের সুযোগ নিয়ে ২ কোটি ডলারের সিগারেট রপ্তানি করল বাংলাদেশ

আমার অনেক ভাই শহীদ হয়েছে, আমি তো এখনও শহীদ হতে পারলাম না: ড. শফিকুর রহমান