জোয়ারের পানিতে বেড়েছে হাসপাতালের দুর্ভোগ 

জোয়ারের পানিতে বেড়েছে হাসপাতালের দুর্ভোগ 

চট্টগ্রাম: বছর তিনেক ধরে জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটির নিচতলা। এর সঙ্গে বৃষ্টি হলে জমে যাচ্ছে কোমর সমান পানি।

নিচতলা প্রায় আড়াই ফুট উঁচু করেও মেলেনি সমাধান । এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক জিনিসপত্রও।

নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের এই চিত্র ইতোমধ্যে দেখেছে দেশবাসী। চিঠি দিয়ে এ সমস্যা সমাধানে একাধিকবার সংশ্নিষ্ট দপ্তরকেও জানিয়েছে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি।

হাসপাতালটির নিচতলায় রয়েছে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, ইএনটি বিভাগ, ৮০ শয্যার শিশু ওয়ার্ড, অভ্যর্থনা, ক্যাশ কাউন্টার, প্রশাসনিক ব্লক, হিসাব বিভাগ ইত্যাদি।

জোয়ারের পানি ঢুকলে শিশু রোগীদের ওপরের তলার ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে হয়। জোয়ারের ময়লা পানি নেমে যাওয়ার পর সেচ, ধোয়া-মোছা করে নিচতলা প্রস্তুত করার পর বৃষ্টি হলে আবারও সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

এই বৃষ্টি-জোয়ারের খেলায় হাসপাতালের পরিচ্ছনন্নতা কর্মীরা যেমন হাপিয়ে উঠেছেন, তেমনি হাঁটু পানি মাড়িয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা এই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হয়ে উঠছেন অভ্যস্ত।

জানা গেছে, হাসপাতালে আসার সড়কগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর থাকে সবসময়। নালাগুলো জমে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের মেঝেতে ময়লা পানিতে ভাসে আবর্জনা, পলিথিন, ব্যবহৃত গ্লাভস, মাস্ক, গজ ব্যান্ডেজ, ওষুধের প্যাকেট, খোসাসহ নানা কিছু।

এ অবস্থায় নিচে পা ফেলা দায়। পা গুটিয়ে বেডের ওপর বসে থাকেন অনেক রোগী ও স্বজনরা। বিব্রতকর এক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে হয় চিকিৎসক, নার্স ও ওয়ার্ড বয়দের। দূরদূরান্ত থেকে অনেকে শিশু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে এসে এ অবস্থা দেখে ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবাও চলছে এমন অবস্থায়।

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ট্রেজারার মো. রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের নিচতলা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী থেকে শুরু করে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সিডিএ’র সহায়তা চেয়েছি। তারা বিষয়টা সমাধানের জন্য আশ্বাসও দিয়েছেন। ’

মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হক বলেন, এলাকাটি খুবই নিচু। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের নিচতলায় পানি জমে যাচ্ছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি একসঙ্গে হওয়ায় এই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরও বেশি হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন