সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর একাধিক স্থানে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা এবং শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে টানা বৃষ্টির সঙ্গে বর্তমানে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা, কুড়িকাউনিয়া ও হরিশখালী এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী ও কোলা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে হু হু করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে জোয়ার-ভাটা বইছে লোকালয়ে। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে সুপেয় খাবার পানির অভাব।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, তার গোটা ইউনিয়ন এখন পানিতে নিমজ্জিত। সাধারণ মানুষ বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে তার উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার শেষ হতে না হতেই ফের বেড়িবাঁধ ভেঙে সব ভেসে গেছে। মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, তার ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া, গাবুরা ও খলসিখালী এখনও প্লাবিত। তবে, হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কোনো রকমে রিং বাঁধ দিয়ে পানিবন্ধ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী জোয়ারে কি হবে তা বলা যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকার জানান, কয়েকটি স্থানে রিংবাঁধ দিয়ে পানিবন্ধ করা হয়েছে। তবে প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা ও কুড়িকাউনিয়া এবং শ্রীউলা ইউনয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে এতই গভীর হয়েছে যে সেখানে এখন বেড়িবাঁধ সংস্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।