ঢাকা: ঢাকা-১৮ ও পাবনা-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে আগামী ২৩ আগস্ট (রোববার) বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকটি রোববার বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে শূন্য হয় ঢাকা-১৮ আসন। এই আসনের ভোটের জন্য ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় আছে। করোনা মহামারিজনিত দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই সময়ের মধ্যে ভোট না করলে সিইসি হাতে পরবর্তী নব্বই দিনেও ভোট করার ক্ষমতা রয়েছে। একত্রে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবে ইসি।
সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ২ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে পাবনা-৪ আসনটি শূন্য হয়। করোনা কারণে প্রথম ৯০ দিনে ভোট করেনি ইসি। এক্ষেত্রে পরবর্তী ৯০ দিনের হিসাব অনুযায়ী, এই আসনে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
বৈঠকের নোটিশে বলা হয়েছে, এ দিন ওই দুইটি উপ-নির্বাচন ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে আরও তিনটি সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ইসিকে।
৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করলে ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনেও করোনার কারণে ভোট করেনি ইসি। এখানেও পরবর্তী ৯০ দিনের হিসাব অনুযায়ী ভোট করতে হবে ১ নভেম্বরের মধ্যে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-১ আসনেও পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কমিশন। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আসনে ভোটের সময় পাওয়া যাবে। সিরাজগঞ্জ-১ আসনটি শূন্য হয় সাবেক সংসদ্য মোহাম্মদ নাসিম গত ১৩ জুন মারা গেলে।
সম্প্রতি নওগাঁ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করায় আসনটি ওইদিন শূন্য হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ৯০ দিনের হিসাবে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর সিইসি তার ক্ষমতাপ্রয়োগ করলে এ আসনে ভোটের সময় পাওয়া যাবে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এসব নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকারের প্রায় দুইশ পদে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।