অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা রানী দেবনাথের ডিভাইস, টাকাসহ জব্দকৃত ২৯ প্রকার মালামাল অবশেষে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় রামু থানা থেকে এসব মালামাল গ্রহণ করে। এসময় রামু থানার ওসি আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।
মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পরদিন রামু উপজেলার নীলিমা রিসোর্ট থেকে এসব উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকল মালামাল র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হস্তান্তর করতে রামু থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নম্বর-১) রামুর এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাং হেলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার জানিয়েছেন, ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক, ২ লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল আদালতের আদেশের র্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। এসব ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে কি না তা পরে তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। এ নিয়ে কোন তথ্য গোপন রাখা হবে না।
৩১ আগস্ট সিনহাকে হত্যা করার পর রামুর খুনিয়াপালং হিমছড়ি এলাকায় মেরিন ড্রাইভ রোডের নীলিমা রিসোর্ট থেকে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা রানী দেবনাথকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে চালান দেয়।
শিপ্রাকে গ্রেফতারের সময় তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা ডিভাইস সমূহ এ মামলার জব্দ তালিকায় আনা হয়নি। পরে রামু থানা কর্তৃপক্ষ পৃথক আর একটি জব্দ তালিকা তৈরি করে এবং জিডি মূলে বিবিধ ১/২০২০ নম্বর মামলা রুজু করে শিপ্রার ডিভাইস ও অন্যান্য মালামাল রামু থানার এই মামলার আইও এসআই শফিকুল ইসলামের হেফাজতে রাখে।