ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা পুলিশের অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ মনিরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে পিয়াসা বেগম (৫০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খবর পেয়ে বুধবার রাতেই উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজড়া গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করে। আজ বৃহস্পতিবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, নিহত পিয়াসা বেগম গোপালপুর ইউনিয়নের মৃত্যু বজলু মোল্লার স্ত্রী। তাদের বদরুল মোল্লা (৩৫) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নিহত পিপাসা বেগম ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে একা থাকতেন এবং ওই বাড়ির দেখভাল করতেন।
নিহত পিয়াসা বেগমের বড় ভাই মহিউদ্দনীর মিয়া বলেন, আমার বোন এ বাড়িতে একাই থাকতেন, সকাল থেকে আমরা ফোন দিয়েছি, কিন্তু সে ফোন রিসিভ করেনি। ভেবে ছিলাম হয়তো কাজে ব্যস্ত আছে তাই ফোন ধরছে না। কোন খোজ না পেয়ে রাতে বাড়ির বাউন্ডারির মধ্যে প্রবেশ করে তার নাম ধরে ডাকলেও তার কোন সাড়া শব্দ নেই। তখন বাড়ির পিছনের দরজা খোলা দেখে, সেখান দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরে আমার বোনকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমরাই পুলিশকে খবর দেই। তিনি জানান, আমার বোনের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। আমাদের ধারনা, বোনকে কেউ মেরে রেখেছে। আমরা এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
এ ঘটনায় বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত নারী দীর্ঘদিন যাবত আমাদের সাথে রয়েছে। সে আমাদের পরিবারের সদস্যের মতই ছিল। খবর পেয়ে আমার পরিবারের সবাই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি এসেছি। তিনি জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী জানাচ্ছি, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ক্লু বের করার, হত্যাকাণ্ড হলে যে বা যারাই এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে এটি হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু।