করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি)। গত ১৯ আগস্ট বুধবার ডিআইপির পরিচালক (পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিদর্শন) মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর আগে, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে পাসপোর্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। তবে পাসপোর্ট রি-ইস্যু সব সময় চালু ছিল।
অফিস আদেশে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে এবং পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সীমিত পরিসরে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং ই-পাসপোর্টের এনরোলমেন্ট (নতুন ও রি-ইস্যু) কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে গত ২৩ মার্চ থেকে এমআরপি ও ই-পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ও জরুরি আবেদনকারী ছাড়া নতুন পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ রাখা হয়।পাসপোর্ট ইস্যুর সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপগ্রহণ, চোখের আইরিশ, ছবিসহ বেশকিছু কার্যক্রম রয়েছে যাতে আবেদনকারীর সরাসরি উপস্থিতি প্রয়োজন। এ কারণেই পাসপোর্টের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল।
জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে প্রতিদিন ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার পাসপোর্টের জন্য নতুন ও রি-ইস্যু আবেদন জমা পড়ত। এর মধ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার আবেদন জমা নেওয়া হতো। প্রায় পাঁচ মাস ধরে সেই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বড় ধরনের জটের সৃষ্টি হয়।
এমন পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে লাখ লাখ নতুন পাসপোর্ট প্রত্যাশী।গতকাল থেকে নতুন আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। সক্ষমতা অনুযায়ী চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তবে সব চাপ উপেক্ষা করে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সেবা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ডিআইপি।
ডিআইপির এক কর্মকর্তা বলছেন, করোনার সময়ে পাসপোর্টের চাহিদাও অনেক কম ছিল। বন্ধের শুরুর দিকে হজে যেতে ইচ্ছুকদের স্পেশাল সার্ভিস দেওয়া হলেও সৌদি সরকার হজ বন্ধ ঘোষণা করলে সেই চাপও কমে যায়। তবে প্রবাসীদের চাহিদা বেশি ছিল। সাধারণ ছুটির সময়ে প্রবাসীদের চাহিদা অনুযায়ী আড়াই লাখ পাসপোর্ট প্রিন্ট করে সরবরাহ করা হয়েছে।