ব্রোকারেজ হাউজে বিনিয়োগকারীদের থেকে নগদ অর্থ লেনদেনের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (১৯ আগস্ট) ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগের কমিশনের কাছে আমাদের এ প্রস্তাবনা দেওয়া ছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। তাই আজ আবারও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের কাছে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ’
চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সিকিউরিটিজ কিনতে একদিনে নগদ ৫ লাখ টাকার বেশি অর্থ নিলে সিকিউরিটিজ আইনে নিষেধাজ্ঞাসহ শাস্তির বিধান রয়েছে। বিধানটি অনেক বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে, যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারের ব্যবসা তথা শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে আসছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের নগদ লেনদেনের পরিমাণ ১০ লাখ টাকা আগেই কার্যকর করেছে।
৫ লাখ টাকার বেশি নগদ অর্থ নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিনিয়োগকারী তার কাঙ্ক্ষিত শেয়ার নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট দরে কিনতে ব্যর্থ হয়। এতে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে শেয়ার কেনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীর চাহিদা মাফিক শেয়ার বিক্রিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউজের দৈনিক লেনদেন হ্রাস পেয়ে কমিশন আয়ে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এ কারণে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউজ উভয়েই ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি শেয়ার লেনদেনে সরাসরি বাধা তৈরি করে, যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারদের পাশাপাশি বাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও বাধার সৃষ্টি করে।
বর্তমান বাজার মূলধন, বাজারের গতি, প্রকৃতি, ধরন, আকার, ব্যাপ্তি, বিনিয়োগকারীর ধরন, সামর্থ্য, অর্থ আয়ের উৎস ও প্রবাহ, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, মানদণ্ড, আকারসহ জনগণের সামর্থ্যের বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের থেকে ব্রোকারেজ হাউজে নগদ অর্থ নেওয়ার পরিমাণ ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিবেচনা ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।