মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তিনজনকে র্যাব–১৫ কার্যালয়ে নিয়ে যান।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী এবং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত।
আগেই তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিনহার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা অপর মামলায় আসামি করা হয় সিনহার আরেক সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথকে। দুজনই কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সৈকতের একটি বাংলোয় অবস্থায় করছেন।
৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে আদালত ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার আরও সাত আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এই আসামিরা হলেন এসআই লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।
৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন নুর কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়।