দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, অনেকেই দুদকের সমালোচনা করেন। আমরা প্রথম থেকেই সমালোচনাকে সাধুবাদ জানাই।সমালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্মসমালোচনা করে আত্মশুদ্ধির পথে এগোতে চাই। তবে বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা হলে আত্মশুদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়।শনিবার (১৫ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।ইকবাল মাহমুদ বলেন, জাতির পিতার খুনিরা ১৫ আগস্ট জাতির ললাটে কলঙ্কের তিলক এঁকে দিয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এ কলঙ্কের তিলক বয়ে বেড়াতে হবে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আমি বা আমরা রাজপথে নেমে আসি নাই– এটাই আমাদের লজ্জা। খুনিদের বিচার করে লজ্জার আংশিক মোচন হতে পারে, কিন্তু পরিপূর্ণ মোচন কখনই হতে পারে না।তিনি বলেন, আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। যখনই আইন বা বিধি–বিধান নিয়ে আলোচনা হতো তখন দেখতাম সব আইন ও বিধি–বিধানের উৎস ১৯৭২–৭৫ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত–জাতির পিতার শাসনামলে প্রণয়ন করা। আজ যে আইনের ভিত্তিতে সমুদ্র বিজয় হয়েছে এই আইনও জাতির পিতার শাসনামলে করা। আমাদের অনুধাবন করতে হবে, কতটা দূরদর্শী নেতৃত্ব থাকলে জাতিসংঘ উপস্থাপন করা যায়–এমন একটি আইন তখনই প্রণয়ন করা হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাতির পিতা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করে গেছেন। দেশকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের যে ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছিল সেসব ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের দোসররা হয়তো আজও সক্রিয়। রক্ত পিপাসু ষড়যন্ত্রকারীদের কাজই দেশের অগ্রগতিকে বাধা দেওয়া।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত প্রমুখ।