কদিন আগে চীনে ফ্রিজে রাখা চিকেন উইংসে মিলেছে করোনা ভাইরাস। আর তা থেকে ছড়িয়েছে নতুন আতঙ্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, খাবার বা খাবারের প্যাকেজিং থেকে করোনা ছড়ায় না। এরকম কোনও উদাহরণ নেই। তাই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। চীনে ওই চিকেন উইংসে করোনা ভাইরাস মেলায় সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রোডাক্টের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে চিহ্নিত করে করোনা টেস্ট করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মিশেল রায়ান বলেন, মহামারীতে ইতিমধ্যেই মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে আছে। আর নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানোর দরকার নেই।চীনে খাবারের প্যাকেটে করোনা ভাইরাস আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভান কেরখোভে বলেন, এরকম হাজার হাজার প্যাকেট পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ১০ টিরও কম ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাই খাবার, খাবারের প্যাকেট, ডেলিভারি করা খাবার থেকে করোনা ছড়ায় না বলেই আশ্বস্ত করেছেন তিনি।তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও উদাহরণ নেই যে খাবারে ভাইরাস থাকলে, সেখান থেকে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। যে কোনও জিনিস রান্না করলে অন্যান্য ভাইরাসের মত করোনা ভাইরাসও মরে যায়।
খাবার ডেলিভারি দেওয়ার সংক্রমণ ছড়িয়েছে, এমন উদাহরণও প্রায় নেই বললেই চলে।সম্প্রতি, ব্রাজিল থেকে ফ্রোজেন চিকেন উইংস আমদানি করেছিল দক্ষিণ চীনের শহর শেনজেন। সেগুলি পরীক্ষা করে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে, বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে চীন।লোকাল ডিজিজ কন্ট্রোল সেন্টার রুটিন স্ক্রিনিংয়ের জন্য চিকেন উইংসের স্যাম্পেল নেয়। সামুদ্রিক খাবার, মাংস আমদানিতে জুন মাস থেকেই এমন পরীক্ষা করছে চীন। জিনফাদি সামুদ্রিক মাছের বাজার থেকে নতুন করে বেইজিংয়ে করোনা সংক্রমণের খবর আসার পর থেকেই পরীক্ষা শুরু করেছে চীনা গবেষকরা।চীনে ব্রাজিলের দূতাবাস থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। শেনজেন এপিডেমিক প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল হেডকোয়ার্টার জানিয়েছে, আমদানি করা মাংস কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন থাকতে হবে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।চীন জানিয়েছে, ইকুয়েডর সহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা চিংড়িতে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। চীনের বড় বড় বন্দরে সাম্প্রতিক সময়ে সামুদ্রিক খাবারের যেসব কনটেইনার এসেছে ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে অনেকের থেকে জিনিস নেওয়া বন্ধ করেছে চীন। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ব্রাজিল সহ একাধিক দেশ থেকে আমদানি বন্ধ করেছে চীন।