গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধিসহ যেসব শর্ত অনুসরণ করে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মানববন্ধন কর্মসূচির বক্তারা।শুক্রবার(১৪ আগস্ট) রাজধানীর আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডের সামনে গণপরিবহনে স্বাস্থবিধি মেনে চলা ও বর্ধিত ভাড়া বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, সুবন্ধন সামাজিক সংগঠন, সচেতন নগরবাসী, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন, বিডি ক্লিক ও আমরা দুর্বার।পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সচেতন নগরবাসীর সভাপতি জি.এম রোস্তম খান, সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, আমরা দুর্বারের সভাপতি আব্দুস সালাম সময়, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাকিল রেহমান, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম টাব্বুস।বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে দেশের অফিস–আদালত পুরোমাত্রায় চলছে। বন্ধ থাকা দোকান–বিপণি বিতান, ব্যবসা–বাণিজ্য চালু হয়েছে। ফলে মানুষকে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর শর্তে ৬০ শতাংশ পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল।সাধারণ মানুষের অতীব প্রয়োজনীয় চলাচল ব্যবস্থা সচল রাখা এবং পরিবহন মালিক–শ্রমিকদের আর্থিক দুরাবস্থা বিবেচনা করে এটি করা হয়েছিল। বর্তমানে অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল—তার কোনোটিই মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমের ঝুঁকি আরো বাড়ছে অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করা অল্প আয়ের কর্মজীবী–শ্রমজীবী মানুষের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।যেহেতু দেশের করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর পরিমাণ ক্রমান্নয়ে বাড়ছে সেহেতু গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। সেই সাথে করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া ও আয়–রোজগার কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের স্বার্থে ও মানবিক বিবেচনায় অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মানার নামে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করার দাবি জানান বক্তারা।