চুরির বিষয়টি সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহজাহান ও রেজিস্ট্রার মো. নুরউদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
তরিকুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে ২০ জন কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই ২৩ জুলাই থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিল। অবশিষ্ট প্রহরী ও আনসারদের সমন্বয়ে নিরাপত্তার কাজ ঠিক রাখার চেষ্টা করেন তাঁরা। এর মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে গেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকটা অনেকটা অরক্ষিত। সেখানে সুরক্ষিত দেয়াল না থাকায় দুর্বৃত্তরা সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। এ কারণেই বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছে তারা।
এর আগে এই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়। ২০১৭ সালে ৫০টি ও ২০১৮ সালে ৪৭টি কম্পিউটার নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এবার ৯১টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকেই একবার বেশ কয়েকটি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য শাহজাহান বলেন, আগের চুরির ঘটনার মামলা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তাধীন। নতুন চুরির ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ছাড়া রেজিস্ট্রার নুরউদ্দিন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।