কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়াস্থ চেকপোস্টে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের গুলিতে সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক মেজর নিহত হয়েছেন।
নিহত সেনা কর্মকর্তার নাম সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (৩৬)। চেক পোস্টে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেন ঘটল- তা তদন্ত করতে একজন উপ-সচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি যশোরের ১৩ বীর হেমায়েত সড়কের সেনানিবাস এলাকার মৃত এরশাদ খানের ছেলে।
তবে এ ঘটনায় পুলিশের ভাষ্য, ওই সেনা কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অপর সঙ্গীসহ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসছিলেন। মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তা তার কাছে থাকা পিস্তল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই সেনা কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার দুপুরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, পুলিশ মেরিন ড্রাইভ চেকপোস্টে গাড়িটি থামায়। গাড়ি তল্লাশি করতে চাইলে গাড়ির আরোহী একজন তার পিস্তল বের করে পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই ব্যক্তি মারা যায়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আটক রয়েছে ২ জন। পুলিশ পিস্তলটি জব্দ করেছে। এছাড়া গাড়ি তল্লাশি করে ৫০ পিস ইয়াবা, কিছু গাঁজা এবং দুটি বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অব. মেজর সিনহা একটি তথ্য চিত্র ধারণের কাজে এক নারী ও অপর ৩ পুরুষ সঙ্গীসহ গত এক মাস ধরে হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার সময় তার গায়ে সেনাবাহিনীর গেঞ্জি পরিহিত ছিলেন। এ কারণে সন্দেহ আরো বেড়েছিল।