স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেনের ভাই মুন্সী ফারুক হোসেনের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৯ কোটি টাকা পাচারের চেষ্টা রুখে দিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজের স্বাক্ষরিত চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইউ ওই অর্থ ফ্রিজ করে। দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামীয় এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র জানায়, দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে কমিশন জানতে পারে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গিয়ে এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তর এবং পাচার করা হচ্ছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ লেনদেন অবরুদ্ধ করা আবশ্যক বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে আরও বলা হয়, আহাদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সী ফারুক হোসেনের নামে একটি ব্যাংকের ইব্রাহীমপুর শাখায় ৭ কোটি টাকার এফডিআর যা সুদসহ ৯ কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, মুন্সী ফারুক হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনদের নিজ নামীয়, তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে অন্যান্য ব্যাংকে থাকা এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনসহ সব লেনদেন অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএফআইউকে অনুরোধ করে দুদক।
বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহের নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক। এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলমকে দলনেতা করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে সংস্থাটি।