সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান দাড়ি কামিয়ে চেহারা বদল করে ভারতে পালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে এই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারত পালাতে চেয়েছিলেন আসামি সাইফুর। সে কারণে ভোরবেলা তিনি ছাতক নোয়ারাই এলাকায় সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান। প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়।
ছাতক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বিল্লাল হোসেন বলেন, সাইফুরের যে ছবি পাওয়া গেছে, তাতেত দাড়ি ছিল। কিন্তু দাড়ি কামিয়ে মুখে মাস্ক পরে তিনি খেয়াঘাটে যান। ভোরে সীমান্ত এলাকায় পৌঁছান। তাকে পালাতে কেউ সহায়তা করছিলেন কি না সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, প্রযুক্তির সহায়তায় সীমান্ত এলাকার দিকে আসামি সাইফুর রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা তাকে নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে গ্রফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো. তাহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি অস্ত্র মামলারও আসামি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে যায় এক দম্পতি। সেখানে ৫-৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন।