কুড়িগ্রাম: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বন্যায় নদী ভাঙনসহ ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নদী ড্রেজিংয়ের বড় প্রকল্পও নেওয়া হচ্ছে।
এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে বন্যা ও নদী ভাঙনের ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, কুড়িগ্রামে বন্যার সমস্যা অতীতেও ছিল এখনো আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। উজানে যখন বৃষ্টি হয় তখন পানি এ অঞ্চল দিয়ে নেমে বঙ্গোপসাগরে যায়। ভাটির দেশ হিসেবে সব সময় এটা আমাদেরকে ফেস করতে হয়।
তিনি বলেন, নদ-নদী ভাঙন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। নদী ভাঙন এলাকায় আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে ও প্রস্তাবিত প্রকল্প আছে। এরমধ্যে এক হাজার ৩৭৬ কোটি টাকার তিনটি চলমান এবং ৭১৪ কোটি ও ৩৮৩ কোটি টাকার আরও দু’টি প্রকল্প রয়েছে। কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধায় বন্যার পানি নেমে এসে যে ক্ষতি করছে এটাকে রক্ষা করতে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। নদী ড্রেজিং এ বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে এগুলো শেষ হলে মানুষ রক্ষা পাবে এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা। সেই নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১০ বছর পূর্বেও অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। এখন সরকারের টাকার কোনো সমস্যা নেই। রাতারাতি নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে সময় প্রয়োজন হয়। তাই তিনি কুড়িগ্রামবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক এ এম আমিনুল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) পনির উদ্দিন আহমেদ, আসলাম হোসেন সওদাগর, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
ত্রাণ বিতরণ শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোগলবাসা, চিলমারী রমনা ও উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর, গুনাইগাছ টি বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন।