বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শিমলা-সাতবাড়িয়ায় দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে সরকারি খাল খনন কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এক পক্ষের দাবি ব্যক্তি মালিকানাধীন এক কৃষকের জমি দখল করে এই খাল খনন করা হচ্ছে। অপরদিকে অন্য পক্ষের দাবি ওই জায়গা দিয়েই খাল খনন করতে হবে। উভয় পক্ষ তাদের দাবির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) দপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের শিমলা-সাতবাড়িয়া নামে পরিচিত খাল খনন কর্মসূচি বিগত ১৫ মে থেকে শুরু করা হয়েছে। দুই কিলোমিটার দূরত্ব এই খালটি খননের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে বিশ লাখ টাকা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ইতোমধ্যে খালটি খননের প্রায় আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু, খালের শেষপ্রান্তে ৫২ শতক জমি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করছে একটি কৃষক পরিবার। আর তাদের বাধার কারণেই খাল খনন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, খালের মধ্যে কৃষক আজিজুল হকের নিজস্ব জমি রয়েছে বলে দাবি করছেন। একই সঙ্গে খাল খনন করতেও নিষেধ করেছেন। এ কারণে খননকাজ বন্ধ রেখেছেন তারা।
কৃষক আজিজুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, যে জমির ওপর দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে, তা তাঁদের পরিবারের কেনা সম্পত্তি। দু’টি দাগে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ৫২ শতক। সর্বশেষ মাঠ খতিয়ান তাদের নামে হয়েছে।
এদিকে, আরেক পক্ষের নেতা মশিউর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির দাবি, বিগত সময়ে ওই জমির ওপর দিয়ে সরকারি উদ্যোগে খাল খনন করা হয়। সে সময়ে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু এখন আজিজুল হকের পরিবার থেকে কেনা সম্পত্তি দাবি করে বাধা দেয়া হচ্ছে। অথচ এই খাল খনন হলে গ্রামের অনেক কৃষক লাভবান হবেন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে উভয়পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি বিবদমান দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।