লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে একটি চিঠিতেই ১৪ জন কারারক্ষীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। আদেশপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছিল বলে একটি সূত্রের দাবি।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১৪ জন কারারক্ষীর বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ।
কারাগার ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২২ মে রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগের গাড়িচালক ফিরোজ কবির (৩৭) ও কারাগারের সিআইডি তহুরুল ইসলামকে (৩৩) এক বোতল ফেনসিডিল ও পাঁচ পিস ইয়াবাসহ আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন তাদের আদালতে পাঠানো হলে তারা জামিনে মুক্তি লাভ করে। অপরদিকে কারাগারের মেহেদী নামে একজন কারারক্ষী মাদক পাচার ও সেবনের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এছাড়াও কয়েক মাস আগে কারাগারের ফার্মাসিস্ট সানওয়ার নারী ও ইয়াবাসহ স্থানীয়দের হাতে আটক হন। যা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। কারাগারে মাদক প্রবেশের এমন তথ্য নিয়ে গণমাধ্যমসহ জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এসব অভিযোগে তদন্তে মাঠে নামে সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তে ১৪ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করে। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কারা অধিদপ্তরের একটি চিঠির মাধ্যমে লালমনিরহাট কারাগারের ১৪ জন কারারক্ষীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১৪ কারারক্ষী লালমনিরহাট কারাগার থেকে বদলি হয়ে চলে যান।
স্ট্যান্ড রিলিজ নয়, স্বাভাবিক বদলি দাবি করে লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ বাংলানিউজকে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ১৪ জন কারারক্ষীকে রোববার বদলি করা হয়েছে। বদলি বিষয়টি সরকারি চাকরির একটি বিধান। কর্তৃপক্ষ মনে করলে বদলি করতে পারেন। এতে কোনো কারণ লাগে না। তবে নতুন করে কতজনকে এ কারাগারে পদায়ন করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরাপত্তার কারণে এমন তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়।