ঢাকা: এবছর সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমাদের বাজারের পাশাপাশি ভারতের বাজারেও ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।
এজন্য এবছর রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ শুল্ক কমানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকটি টিম বেনাপোল ও হিলিতে যাবে। সেখানে দেখবে আমদানির কী অবস্থা। একটু দাম বেড়েছে বাজারে। বন্যার কারণে সরবরাহে সমস্যা হয়েছে। আমরা খুব চেষ্টা করছি। টিসিবি বড় পড়িসরে নামছে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করবো। আমরা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করবো। ফুল মনিটর করছি, দেখা যাক।
তিনি বলেন, গতবছরের পেঁয়াজ আর এবছরের মধ্যে পার্থ্যক হলো গতবছর ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার কিন্তু বন্ধ করেনি। গতবছর বন্ধ করার পরে আমাদের এখানকার ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। ভারতও তখন ১৫০ রুপিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছিল। এ অঞ্চলে সমস্যা হয়েছিল আমাদের সাফারিং বেশি হয়েছে।
এরমধ্যে ভালো দিক হলো ভারত বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমরা নতুন বাজার থেকে আমদানি করতে শিখেছি। তার্কি, ইজিপ্ট, ইন্দোনেশিয়া এসব দেশ থেকে গতবার পেঁয়াজ আসার কারণে এবারও আমাদের লোকজনের যোগাযোগ ভালো আছে। আমরা তার্কি থেকে আমদানির জন্য টেন্ডারও করেছি টিসিবির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানিতে ট্যাক্স কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এবছর পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হয়েছে। তাহলে এখনই সংকট কেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশি হওয়া মানেই আমাদের ফুল টার্গেট হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিকটন। আমাদের উৎপাদন বেড়েছে ফলে কৃষক কিছু দামও পেয়েছে। তারপরও আমাদের ঘাটতি রয়েছে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টন। এক বা দুই বছরে আমরা এটা কাভার করতে পারবো না। পাশাপাশি আমাদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে বাইরের বাজারের ওপর।
তিনি বলেন, আমাদের একটি ছোট সমস্যা হয়েছে মিয়ানমার থেকে আমরা যে পরিমাণ গত ক্রাইসিসের সময় পেয়েছি, সেটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোভিডের কারণে। গতকাল মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের সচিবের কথা হয়েছে। আমরা সবগুলো পথ খুলে দিতে চাই। যত দ্রুত ও বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।