সৌদি আরবকে সরিয়ে ইসলামী বিশ্বের নেতৃত্বের জন্য লড়াই করছে তুরস্ক। এতে চীন ও পাকিস্তানের সমর্থন রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সৌদি আরবকে ইসলামী বিশ্বের নেতৃত্ব থেকে সরাতে তুরস্কের প্রচেষ্টার প্রথম সংকেতটি আসে গত বছর, যখন মালয়েশিয়া সৌদি নিয়ন্ত্রিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) দুর্বল করতে মুসলিম বিশ্বের আরো একটি ফ্রন্ট তৈরির জন্য কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধান রিসেপ তাইয়েপ কাশ্মীর বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলেছেন। ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) সঙ্গে সংঘর্ষে ইসলামাবাদকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। ফলে তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তুরস্ক ও পাকিস্তান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে একে অপরকে সমর্থন দিয়েছে। সামরিক ক্ষেত্রেও তারা একে অপরকে অনেক সহায়তা করে থাকে।
জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্ক তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইসলামিক স্টেটকে ব্যবহার করে। পশ্চিমা বাহিনীর হামলার শিকার বহু আইএস সদস্যদের আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া সিরিয়া ও লিবিয়াতে অস্থিরতার জন্য দায়ী তুরস্কই।
একই প্রতিবেদনে দ্বৈত আচরণের জন্য এরদোয়ানের সমালোচনা করা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় সমালোচনা করেছে তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে শুরুর দিকেই যেসব দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে তার একটি হল তুরস্ক। দুই দেশের মধ্যে বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।