আনন্দলোক স্কুলের শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের “পুষ্পায়ন” কর্মসূচি

আনন্দলোক স্কুলের শিশুদের নিয়ে কুবি রোটারেক্ট ক্লাবের “পুষ্পায়ন” কর্মসূচি
কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোটারেক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি এর উদ্যোগে আনন্দলোক স্কুল শিশুদের নিয়ে শুরু হয়ে ছয় মাসব্যাপী শিক্ষাদান কর্মসূচি “পুষ্পায়ন”। স্কুলের শিশুদের জন্য আনন্দঘন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু–বান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তারা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শালবন বিহার পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রথম দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দলোক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, রোটারেক্ট ক্লাবের উপদেষ্টা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অব কুমিল্লার রোটারিয়ানবৃন্দ ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
ঐতিহ্যবাহী শালবন বিহারের স্থাপত্য, সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ব শিশুদের সামনে তুলে ধরেন রোটারেক্ট সদস্যরা। পরবর্তীতে দিনব্যাপী শিশুদের গান, কবিতা, পিলো পাসিং, মার্বেল দৌড়, বেলুন ফুলানোসহ নানা মজার প্রতিযোগিতা ও পরিবেশনায় পুরো প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। শিশুদের নৃত্য ও সংগীত পরিবেশনায় যুক্ত হয় বাড়তি রঙিন আমেজ, যা আনন্দলোক স্কুলকে পরিণত করে এক উচ্ছ্বাসময় মিলনমেলায়।
রোটারেক্ট ক্লাবের সেক্রেটারি মোঃ আল-আমিন শিশুদের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বলেন, “আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই বড় হয়ে ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, এডভোকেট হবে, উদ্যোক্তা হবে, সর্বোপরি সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাই তাদের শুরুটা হওয়া উচিত সঠিক দিকনির্দেশনায়। রোটারেক্ট ক্লাব অব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট পুষ্পায়নের মাধ্যমে চেষ্টা করবে শিশুদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে শৈশব থেকেই তাদের ২১শ শতাব্দীর সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে।”
রোটারেক্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর আনজুম সাজন বলেন, “পুষ্পায়ন আমাদের কাছে শুধু একটি প্রজেক্ট নয়—এটি আমাদের দায়িত্ববোধের প্রকাশ। এই অঞ্চলের শিশুদের জন্য কিছু করতে পারা আমাদের সৌভাগ্য। প্রতিটি শনিবার যখন আমরা শিশুদের পাশে দাঁড়াতে যাবো, তখন শুধু রোটারেক্ট নয়, পুরো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করবো, এটাই আমাদের গর্ব। আশা করি ‘পুষ্পায়ন’ শিশুদের শেখার আগ্রহ বাড়াবে, তাদের আত্মবিশ্বাস গড়বে এবং সামান্য হলেও তাদের ভবিষ্যতের পথে আলো জ্বালবে। আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ এলাকার মানুষের জন্য স্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনুক।”
..

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::