রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সেনের হাওলা ও গঙ্গিপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া হলুদিয়া খালের ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, রোগী ও কৃষকদের জন্য এটি এখন এক ‘মরণ ফাঁদ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে সাঁকোর কাঠগুলো পচে নষ্ট হয়ে যায় এবং পাটাতন ভেঙে পড়ায় এটি পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তারপরও বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রায়ই বাচ্চারা ও বৃদ্ধরা সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে।
হলুদিয়া গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক কাওসার আহম্মেদ বলেন, অনেক দিন ধরে আমরা নিজেরা মিলে সাঁকোটি জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে কোনো রকম চলাচল করছিলাম। কিন্তু এখন এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে আর মেরামত করাও সম্ভব নয়। প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ দুই গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন। প্রায় সময়ই বাচ্চারা নিচে পড়ে যায়। আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-এখানে যেন জরুরিভিত্তিতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়।”
স্থানীয়রা জানান, এ সাঁকোটি ভাঙার কারণে কৃষিপণ্য বাজারে নিতে, রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে যেতে ভোগান্তির শেষ নেই। জরুরি সময়ে নৌকা না থাকলে পারাপার একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব দাস পুরকায়স্থ জানান, উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
..