এস এম মঈন, সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি: সাত কলেজ ও ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি ইস্যুতে শিক্ষা সচিবসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাসদার হোসেন।
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের ঐতিহ্য নষ্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সংকুচিত করা সংবিধান বিরোধী বলা হয়েছে নোটিশে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে নারী শিক্ষার সংকোচন, কর্মসংস্থান নষ্টসহ নানা ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে ।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ ও সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্ট্রার।
এই নোটিশ দেয়া হয়েছে ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিমউল্লাহ খোন্দকার, শিক্ষা ক্যাডারের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ কফিল উদ্দীন ও গত ২৫ বছরের বেশির ভাগ সময় জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজে চাকরি করা নাসরিন বেগমের পক্ষে।
রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হলে স্বতন্ত্র ও ঐতিহ্য হারাবে সাতটি কলেজ। তাছাড়া কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাও ভিন্ন। আর প্রস্তাবিত খসড়া অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় হলে ঢাকায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। এসব কারণে ঢাকা কলেজসহ অন্যান্য কলেজের স্বতন্ত্র ও ঐতিহ্য রক্ষার দাবি জানানো হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক ছাত্রছাত্রীদের মধ্য থেকে।
গত ৫ অক্টোবর ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা হয়। সকালে কলেজ আর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন তারা। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা কলেজের স্বকীয়তা রক্ষা এবং ভবিষ্যতে উচ্চমাধ্যমিক স্তর থাকবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।
ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অনিশ্চয়তার কথা জানান। অধ্যাদেশ নিয়ে আপত্তি তোলেন বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
এদিকে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে গিয়ে ৩৫০টি শিডিউল পদ হারায় বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারা। তাই সাত কলেজ নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদগুলো যেন শিক্ষা ক্যাডারের হাত ছাড়া না হয়। এই সাত কলেজে শিক্ষা ক্যাডারের শিডিউলভুক্ত এক হাজারেরও বেশি। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকেই নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।