নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বামী শ্রীঘরে

নীলফামারীতে স্ত্রীর মামলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বামী শ্রীঘরে

আরিফুল ইসলাম আরিফ, নীলফামারী: স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জামিন না পেয়ে শ্রীঘরে গেছেন অভিযুক্ত স্বামী সোহেল রানা।

সোহেল রানা জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই কলোনী মিয়াপাড়া এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে।

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতির সাথে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মেনে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের সুখের জন্য নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ধরণের উপঢৌকণ প্রদান করলেও, অভিযুক্ত সোহেল রানা বিয়ের পর থেকেই ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্ত সোহেল রানার যৌতুকের দাবী পুরণে ব্যর্থ হলে, ভুক্তভোগীর ওপর নেমে আসে অভিযুক্ত সোহেল রানা কর্তৃক নানা শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের মাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকলে, অভিযুক্ত সোহেল রানার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসহ বেশ ক’টি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী।

জানতে চাইলে, ভুক্তভোগী হানিফা আক্তার ইতি জানান, “আমার স্বামী সোহেল রানা ডিমলা উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট ভালো নয়, বিয়ে কালীন সময়ে আমার সুখের জন্য আমার বাবা আমার স্বামীকে নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার উপঢৌকন স্বরুপ প্রদান করে। কিন্তু আমার স্বামী বিয়ের পর থেকেই যৌতুক বাবদ ৫লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তখন থেকেই আমি আমার বাবার বাড়ীতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। আমার স্বামী সোহেল রানা আমার ও বাচ্চাদের খোঁজ খবর নেয়া তো দুরের কথা, আমার বাবার বাড়ীতে গিয়েও আমাকে বেধরক মারপিট করে, আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি”।

রাষ্ট্রপক্ষ্যের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোশাররফ হুসাইন মিন্টু, অতিরিক্ত পিপি, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নীলফামারী বলেন, “বাদিনীর দায়ের করা মামলা যার নম্বর-জি.আর ২০২ মামলায় আসামীপক্ষ জামিন আবেদন করলে, শুনানী অন্তে জামিন না মঞ্জুর করে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত”।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::