মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার:পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটকশূন্য। বছরের অন্যান্য সময় যেখানে সৈকতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে, সেখানে এখন নীরবতা বিরাজ করছে।শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে সুগন্ধা, লাবনী, সীগাল ও কলাতলী সৈকত পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের আশপাশের দোকানপাট, বিশেষ করে শামুক-ঝিনুকের দোকান, ফুচকা, চায়ের স্টল ও খাবারের দোকানগুলো অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। সৈকতের ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক চালক, জেডস্কি চালক, ঘোড়াওয়ালা, ভ্রাম্যমান হকারদের পদচারণা কমেছে সৈকতজুড়ে। শূন্য পড়ে আছে ছাতা চেয়ারগুলো।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজান মাস এলেই কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কমে যায়। বিশেষ করে দিনের বেলা রোযার কারণে ভ্রমণে আগ্রহী হন না অধিকাংশ মানুষ। তবে ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হলে পর্যটকদের ঢল নামবে এবং কক্সবাজার আবারও ফিরে পাবে তার চিরচেনা কোলাহল। রোজা শুরুর পর থেকে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-গেস্টহাউস রিসোর্টসমূহের ৯৫ শতাংশই খালি।রফিক নামে একজন ফটোগ্রাফার বলেন,এখন পর্যটক নেই বললেই চলে। আমাদের আয় একদম কমে গেছে। তবে ঈদের পর ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।শামুক-ঝিনুক বিক্রেতা সেলিম বলেন, ‘রমজান মাসে ব্যবসা খুবই ধীরগতির হয়। তাও দোকান খুলেছি। গুটিকয়েক মানুষজন আসছে তাদের জন্য। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করছি ঈদের জন্য, তখন বিক্রি বেড়ে যাবে।কক্সবাজারের হোটেল মালিকদের একটি সংগঠনের নেতা মুকিম খান বলেন, ‘রমজান মাসে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়া আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমরা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছি। বছরের এই সময়টায় ব্যবসা মন্দা থাকে। কর্মীদেরও ছুটিতে পাঠিয়েছি। তবে ঈদের ছুটি শুরু হলে কক্সবাজার আবারও পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে উঠবে। আমরা সেই সময়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।তিনি আরও বলেন,বর্তমানে হোটেল-মোটেলগুলোর অধিকাংশ রুম ফাঁকা পড়ে আছে। প্রায় হোটেল রিসোর্টগুলোতে ৬০ শতাংশ ছাড়েও রুম পাওয়া যাচ্ছে। তবে আশা করছি, ঈদের পরদিন থেকে কয়েকদিন কক্সবাজার পুরোপুরি পর্যটকে ভরে যাবে।সাময়িক এই মন্দাভাব পেরিয়ে ঈদের ছুটিতে আবারও পর্যটকের ঢল নামবে এমন আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা।