আশিকুর রহমান :ফ্যাসিস হাসিনা পতনের আন্দোলনে নরসিংদীবাসী যে ভূমিকা রেখেছে তা অবিস্মরণীয়। এদেশের ইতিহাসে আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলো নরসিংদীবাসী। সেদিন তারা জেলখানা ভেঙে দিয়েছিল। আজ আমরা সভা করছি নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে। আমরা যে সভায়ই করি না কেন, বাস্তবতা হলো বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে যদি লিখতে হয় শহিদ জিয়ার মতাদর্শের উপরে লিখতে হবে। যে শহিদ জিয়া এদেশের ইসলামিক মূলবোধ তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের পরিচিত দিয়ে গেছে এবং সাম্যবাদের স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। তাই এই তিনটি ভিত্তি নিয়েই আগামীতে রাজনীতি হতে হবে এবং সংবিধান সংস্কার যদি হতে হয় এ তিনটির ভিত্তিতেই হবে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী দাবী করেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শহরের পৌর ঈদগাঁ মাঠে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি ও পতিত ফ্যাসিবাদী চক্রান্ত মোকাবেলা এবং দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা সহ বিভিন্ন দাবীতে নরসিংদী জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এর সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব মনজুর এলাহীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পলাতক শেখ হাসিনা, তার ছেলে-মেয়ে, বোন-ভাগিনী সবাই চোরের বংশ। তাদের এ পরিবারের সকল দুর্নীতির কথা জনসমক্ষে এসেছে। হাসিনা ঠান্ডা মাথার খুনি। আন্দোলনে মুখে সে হিন্দুস্থানে (ভারত) পালিয়েছে। সীমান্তের ওইপারে বসে সকল ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি আরও বলেন, তারেক জিয়ার ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নজরুল ইসলাম আজাদ। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল নরসিংদী শহরের কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগাঁ মাঠের গিয়াস উদ্দিন কাদেরের জনসভাস্থল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নরসিংদীর আশপাশ ও চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে সমবেত হতে থাকে। দুপুর ২ টার মধ্যে জনসভাস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সভায় যোগ দেয় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। লাল-সবুজের সমিহিত শাড়ী ও দলীয় প্রতীক ধানের শীষের ক্যাপ পরে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নারী-পুরুষের আগমনের দৃশ্যগুলি ছিল দেখার মতো। অনেকে জ্যান্ত ধানের শীর্ষ ও দলীয় পতাকা নিয়েও সভাস্থলে আসেন। সমাবেশের মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠলে মিছিল নিয়ে সড়ক ও আশপাশের অলিগলিতে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সভাস্থলে আসা ৭০ উর্ধ্বে বয়সের বিএনপির এককর্মী বলেন, অনেকদিন পর হলেও আজকের সভাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, সভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। নরসিংদীসহ আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,