খাদিজা আক্তার, বান্দরবান: আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি এবং ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় পর্যটন মৌসুমে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বান্দরবানও খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এ ঘোষণা দেন। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
বান্দরবানের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা । আজ বুধবার এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসনে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসন থেকে মৌখিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দিয়ে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করার কথা বলা হয়। যদিও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন নিরুৎসাহিত নয় বরং পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রশাসন হতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো না হলেও ধারণা করা হয় সাম্প্রতিক সময়ে খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা, এবং পরপরই পাহাড়ে ধর্মীয় উৎসব চলমান থাকায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় সে সময়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রশাসন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
করোনার পর হতে দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী তৎপরতা ও অভিযানের কারণে বান্দরবানে পর্যটন ব্যবসায় মন্দাভাব চলছে। লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক রেস্টুরেন্ট ,হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা জানান এভাবে চলমান থাকলে পাহাড় কন্যা খ্যাত বান্দরবান হতে পর্যটনগণ যেমন মুখ ফিরিয়ে নিবেন তদ্রুপ বন্ধ হয়ে যাবে বান্দরবানের সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়। পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া না হলেও নির্ধারিত স্থানের জন্য পর্যটন খুলে দেওয়ার দাবী করেন ব্যবসায়ীরা এবং দ্রুত সকল প্রকার অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।