আনাছুল হক,কক্সবাজার:: এবার কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে দুর্গোৎসব উদযাপিত হয়েছে একেবারেই অন্যরকম আয়োজনে। সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে মিল রেখে ভক্তরা এক মনোরম পরিবেশে দেবী দুর্গার পূজা সম্পন্ন করেছেন। এই আয়োজনের বিশেষত্ব ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এর বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজন, যা পুরো দেশজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আয়োজনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতকে কেন্দ্র করে এই উৎসবকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য জলে এবং ডাঙ্গায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সমুদ্রের জলরাশির সুরক্ষায় ছিল কোস্টগার্ড ও প্রশিক্ষিত ডুবুরিরা। ভক্ত ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্রের প্রতিটি অংশেই কোস্টগার্ডের নজরদারি ছিল, যারা সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছিলেন। যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে জলে ডুবুরি দল প্রস্তুত ছিল।
নিরাপত্তার আরও একটি বিশেষ উদ্যোগ ছিল জেডস্কি ব্যবহার। সংকটময় পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত ছিল এই বাহনটি।সমুদ্রের পাড়ে, যেখানে মূল পূজার আয়োজন করা হয়, সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছিল। ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিটেক্টর এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থাও ছিল।
অনুষ্ঠানের সময় ভক্তরা সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি, ভক্তিপূর্ণ সুর ও পরিবেশে পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন। পূজার প্যান্ডেলগুলো ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত।
কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন এবং পূজা উদযাপন কমিটির সমন্বয়ে এই উৎসবটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। ভক্তদের জন্য পর্যাপ্ত জল সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা, এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা ছিল। সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে এমন উৎসবের আয়োজন অনেকেই প্রথমবারের মতো দেখলেন, যা সবার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।এ ধরনের আয়োজন কেবল ভক্তদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, পর্যটকদেরও আকর্ষণ করেছে।