দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ওয়াফিক সাফা। যিনি নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর শ্যালক এবং গ্রুপের একজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস কোনো মন্তব্য করেনি। বাচৌরার দুটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এনওয়েরি এবং বাস্তার আবাসিক ভবন হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েল দক্ষিণ শহরতলির দাহিয়েহ শহরের বাইরে বিমান হামলা শুরু করেছে। এর আগে হামলা করে হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হত্যা করেছে এবং অস্ত্রের ভাণ্ডার ধ্বংস করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের বাইরে থাকা এক নারী জানান, বিস্ফোরণের সময় তিনি পাশের ভবনে ছিলেন।
তিনি বলেন, যে ভবনে হামলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ আবাসিক এবং প্রায় চার বা পাঁচতলা উঁচু। এ তার এক আত্মীয় মাথায় আঘাত নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।জাতিসংঘের মতে, একটি ওয়াচ টাওয়ারে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কের গুলি চালানোর সময় দক্ষিণ লেবাননে দুই ইন্দোনেশিয়ান শান্তিরক্ষী আহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বৈরুতে হামলার ঘটনা ঘটে।
লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউনিফিল) এক বিবৃতিতে বলেছে, নাকোরায় জাতিসংঘের একটি ঘাঁটিতে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার সরাসরি আঘাত করেছিল, যার ফলে শান্তিরক্ষীরা এ হামলার শিকার হন।ইউনিফিল একটি শান্তিরক্ষা মিশন যা ১৯৭৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল। শত্রুদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দক্ষিণ লেবাননে বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এটি কাজ করে।
জাতিসংঘ বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী জাতিসংঘের অবস্থানে বারবার আঘাত করেছে। ইসরায়েলি সৈন্যদের বিরুদ্ধে আরও দুটি ইউনিফিল ঘাঁটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে।লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি