বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-জনতার বিপ্লব, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং আগের সরকারের নৃশংসতার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেন।মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার সহযোগিতা এবং মালয়েশিয়ার নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
একান্ত বৈঠক শেষে দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু একই গাড়িতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান।হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে দুই দেশের সরকারপ্রধান যৌথ বিবৃতি দেবেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এটিই প্রথম কোনো সরকারপ্রধানের বাংলাদেশ সফর। প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন। ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সংক্ষিপ্ত সফরে দুপুর ২টার পর ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী, পরিবহন উপমন্ত্রী, ধর্মবিষয়ক উপমন্ত্রী, দুজন সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।সফর শেষে সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ছাড়বেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।