তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যুক্তরাজ্যে নেওয়া হলে ৮ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজন ১৮ থেকে ২১ ঘণ্টা ফ্লাইং আওয়ার। কাজেই এ যাত্রার জন্য তার শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছুটা সময় লাগবে। বেশকিছু জটিল চিকিৎসা করাতে অনেকটা সময় তাকে বিদেশে থাকতে হবে। সেখানে তার লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করা হবে। তবে বিমানে লম্বা সময় ভ্রমণের মতো উপযুক্ত শারীরিক সুস্থতা না থাকায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আগের চেয়ে ভালো আছেন। প্রতিদিন চিকিৎসকরা নিয়ম করে বাসায় গিয়ে ফলোআপ করছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা আসছেন। তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তার ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে। স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার গুলো সঠিক মাত্রায় রয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও হাসিনা সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পরদিনই খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে অন্তর্বর্তী সরকার।