এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের গুলিতে বিএনপির স্থানীয় সমর্থক মজির উদ্দিন নিহত হন। ওই ঘটনার পর পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে তাদের ফিরিয়ে দেয়। এত বছর পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় তিনি স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন।
এর আগে ২০১৫ সালে মজির উদ্দিনকে হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিল। ওই মামলায় বিভিন্ন সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নিহত মজিরের ভাতিজা আবু সাঈদ চাঁদও এ মামলায় জেল খেটেছেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। অর্থাৎ এ মামলার বাদী রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের চাচি। বুধবার রাতে আবু সাঈদ চাঁদও মামলা করতে মাছুফার সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন।
আর ওই একই ঘটনায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদও বুধবার রাতে পুঠিয়া থানায় পৃথক মামলা দায়ের করতে এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু চাচি ও ভাতিজা দুজনের মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে একই ব্যক্তিদের নাম লেখা ছিল। সেই কারণে পুলিশ একটি এজাহার গ্রহণ করলেও চাঁদের এজাহারটি গ্রহণ করেনি।