সালমান, আনিসুল, জিয়াউল ও সাদেক আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

সালমান, আনিসুল, জিয়াউল ও সাদেক আরও ৫ দিনের রিমান্ডে

সমাচার ডিজিটাল ডেস্ক:::::::: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান ও ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বাড্ডায় সুমন সিকদার হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান এবং আদাবর থানার একটি হত্যা মামলায় জিয়াউল আহসান ও সাদেক খানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাইলে আজ বৃহস্পতিবার আদালত তা মঞ্জুর করেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাঁদের আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

২৪ আগস্ট রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকা থেকে সাদেক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দ্বিতীয় দফায় তাঁর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলো।

১৫ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় তাঁর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় পাঁচদিন করে তাঁর আরও ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই বাড্ডার প্রগতিসরণিতে এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তাঁর মা মাসুমা বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেছিলেন। মামলায় আসামি করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েকশ ছাত্র-জনতা সকাল ১১ টার দিকে আদাবর থানাধীন রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এসময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতীলীগ, কৃষকলীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে কাছের একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট রাতে আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::