নিউজ ডেস্ক : ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বন্যার্তদের জন্য গঠিত প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সহানুভূতি ও আন্তরিকতা প্রকাশ করেছেন তিনি।রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি মর্মাহত। তিনি হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং তাদের পরিবার, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেন।চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশিরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে এবং তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করবে।রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, দুই দেশ ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং চীনা জনগণ বাংলাদেশি জনগণের দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেয়। এইভাবে চীন বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করার চেষ্টা করছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী চীনের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি প্রতিদিন যথাক্রমে সকাল ও বিকালে দুইবার বাংলাদেশকে উজানের নদীর জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করছে।তিনি জানান, চীনের রেড ক্রস সোসাইটি জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে নগদ এক লাখ ডলার অনুদান দেবে। চীনা দূতাবাস প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ২০ হাজার ডলার অনুদান এবং ফেনী ও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত একার মানুষের জন্য ৬ মিলিয়ন টাকার খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন এবং মিনিস্টার কাউন্সেলর লিউ ইউয়িন এবং চীনা দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিকরা ইতোমধ্যেই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রওনা হয়েছেন। প্রয়োজনে চীন বাংলাদেশকে আরও সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৪ মিলিয়ন নগদ টাকা ও প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন টাকা মূল্যের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে চীন। এই সহায়তা অব্যাহত রেখেছে দেশটি।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।