সমাচার ডেস্ক::::: ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের একাধিক অংশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে সাজেক সড়কের কবাখালি, বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ একাধিক অংশ ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে সড়কটিতে পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সকল ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন অন্তত ২৫০ পর্যটক।
দীঘিনালার কবাখালিতে আটকা পরা পর্যটক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি। বন্যা খবর জানতাম না। এখন আটকা পড়েছি। সড়কের দুই তিন জায়গায় পানি উঠেছে। এত দূর বাইক জার্নি করে আসার পর সাজেক যেতে পারছি না। আজ দীঘিনালায় অবস্থান করব। পানি কমলে কালকে সাজেক যাব।’
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, ‘সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার, মাচালং ও কবাখালি অংশে পানি উঠে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ আছে। এতে আটকা পরেছে ২৫০ জন পর্যটক। তারা আজকে ফিরতে পারবে না।’
খাগড়াছড়ি পৌর শহরের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা শান্ত ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে কয়েক দফায় বন্যা হয়েছে। তবে এবার এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা বা খাবার পাইনি।’
তবে এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি। বন্যার পানি ডুবে আছে মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম। এদিকে পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, ‘আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বন্যা দুর্গতদের শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। মাইনী নদীর পানি না কমায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনো মেরুং বাজার পানির নিচে।’